গর্ভবতী হওয়ার কতদিন পর বমি হয়?

গর্ভবতী হওয়ার কতদিন পর বমি হয়? গর্ভধারণের পর এমন প্রশ্ন প্রায় প্রত্যেক মহিলার মাথায় ঘুরতে থাকে। জেনে রাখা ভালো যে বমি হওয়া গর্ভধারণের একমাত্র লক্ষণ নয়। গর্ভাবস্থার অনেকগুলো লক্ষণ এর মধ্যে বমি হওয়া অন্যতম। গর্ভবতী হবার লক্ষণ গুলি সম্পর্কে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন। 

Ask Question

গর্ভবতী হওয়ার কতদিন পর বমি হয়?

গর্ভধারণের চার থেকে ছয় সপ্তাহ পর থেকেই বমি শুরু হয়। এস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন এর মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় বমির ভাব হয়ে থাকে। তবে এই সমস্যা বেশি হতে দেখা যায় সকাল বেলা। বমির মাত্রা যদি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি হয় তবে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। 

আরো দেখুনঃ সহবাসের কতদিন পর গর্ভবতী হয়

Honey Sponsored

গর্ভকালীন সময়ে বমি কেন হয়?

গর্ভধারণের পর শরীরের বেশিরভাগ পরিবর্তনগুলো সম্পন্ন হয়ে থাকে বিভিন্ন হরমোনের প্রভাবে। ঠিক একইভাবে বমি হবার পেছনে একটি হরমোন কাজ করে থাকে। হিউম্যান কোরিওনিক গনাডোট্রোফিন (Human Chorionic Gonadotropin -hCG) নামের এই হরমোন গর্ভকালীন সময়ে শরীরে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে। আর এর ফলে গর্ভবতী মহিলা মাঝে মাঝেই বমি করে থাকেন। কোন মহিলার গর্ভে যদি যমজ সন্তান থাকে তবে বমির পরিমাণ বেশি হতে পারে। 

আরো পড়ুনঃ প্রেগন্যান্সির লক্ষণ কি কি?

হরমোনের প্রভাব এর পাশাপাশি এ সময় মর্নিং সিকনেস ও শারীরিক দুর্বলতা বাড়তে থাকে। অনেক সময় রক্তচাপ কমে গিয়ে মাথা ঘোরা এবং বমি ভাব চলে আসে। তাছাড়া অনেকের স্বাভাবিকের তুলনায় অতিরিক্ত বমি হয়ে থাকে যাকে বলা হয় হাইপারএমেসিস গ্র্যাভিডেরাম (Hyperemesis Gravidarum) । এক্ষেত্রে গর্ভবতী মহিলা স্বাভাবিক যে কোন খাবার খাওয়া মাত্রই সেটি বমির মাধ্যমে বের হয়ে আসে। এই অবস্থায় শরীরে পানি শূন্যতার ঝুঁকি অত্যন্ত বেড়ে যায়। সুতরাং এমন পরিস্থিতির শিকার হলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। 

আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় সহবাস করা কতটা নিরাপদ?

অতিরিক্ত বমি হলে করণীয়

গর্ভকালীন সময়ে চতুর্থ সপ্তাহ থেকে বমি শুরু হয় ২০ তম সপ্তাহ পর্যন্ত চলতে পারে। প্রথম সপ্তাহে বমির ঔষধ, ভিটামিন এবং স্টেরয়েডের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তবে নিজে নিজে কোন ফার্মেসি থেকে ওষুধ না কিনে ডাক্তারের পরামর্শমতো ঔষধ সেবন করা সবচেয়ে উত্তম। সেই সাথে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি এবং খাবার স্যালাইন খেতে হবে যাতে করে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা না দেয়। 

সুত্রঃ সহায় হেল্থ‌

RelatedPosts

বাচ্চা হওয়ার পর পিল খাওয়ার নিয়ম

বাচ্চা হওয়ার পর পিল খাওয়ার নিয়ম কী

বাচ্চা হওয়ার পর পিল সেবনের নিয়ম গুলো সাধারণত অন্যান্য মহিলাদের মতই। তবে এক্ষেত্রে কিছু ব্যতিক্রম পদ্ধতি লক্ষ্য করা যায়। সাধারণত মহিলাদের সন্তান প্রসব করার ২১ দিন পর থেকেই... Continue

নিয়মিত মাসিক হওয়ার প্রাকৃতিক উপায়

নিয়মিত মাসিক হওয়ার প্রাকৃতিক উপায়

নিয়মিত মাসিক হওয়ার প্রাকৃতিক উপায়ঃ অনিয়মিত মাসিক নারীদের একটি সাধারণ সমস্যা হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। জীবনযাত্রায় পরিবর্তন, ওজন কমে যাওয়া কিংবা আরো বিভিন্ন কারণে মাসিক অনিয়মিত হতে পারে।... Continue

পিল খাওয়ার পর মাসিক না হওয়ার কারণ কী

পিল খাওয়ার পর মাসিক না হওয়ার কারণ কী

ইমারজেন্সি পিল খাওয়ার পর মাসিক না হওয়ার কারণ কি হতে পারে সেটা ভেবে অনেকেই চিন্তিত হয়ে পড়েন। জেনে রাখা ভালো যে পিল মাসিক হওয়ার কোন ঔষধ নয় বরং... Continue

মাসিক না হওয়ার কারণ

নিয়মিত মাসিক না হওয়ার কারণ গুলো জেনে নিন

মাসিক না হওয়ার কারণ হিসেবে সাধারণত অনেকেই গর্ভধারণকে দায়ী করে থাকেন। কিন্তু গর্ভধারণ ছাড়াও এমন অনেক কারণ রয়েছে যেগুলো সঠিক সময়ে মাসিক হতে বাধা প্রদান করে। সাধারণত সাধারণত... Continue

খুশকি দূর করার উপায়

খুশকি দূর করার উপায়

ত্বকের সাধারণ সমস্যা গুলোর মধ্যে একটি হলো খুশকির সমস্যা। এই সমস্যার আবির্ভাব ঘটে যখন মাথার ত্বকের আদ্রতা স্বাভাবিকের তুলনায় কমে যায়, ফলে পড়তে হয় একটি বিরক্তিকর পরিস্থিতিতে। অবশ্য... Continue

মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়

মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়

প্রশ্ন হল মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় ? পিরিয়ড বা মাসিকের তারিখ পার হয়ে যাবার পর অনেকেই দুশ্চিন্তা করে থাকেন যে গর্ভবতী হয়ে পড়লেন... Continue